অন্নদার আত্মপরিচয় । সারমর্ম

|| সারমর্ম ঃ দেবী অন্নপূর্ণা গাঙ্গিনীর তীরে এসে মাঝিকে পার করে দেবার জন্য
আহ্বান জানান। নদীর ঘাটে ঈশ্বরী পাটুনী নামে এক মাঝি তার ডাকে সাড়া দিয়ে
নৌকায় ছদ্মবেশী দেবীকে তুলে নিলেন। এরপর পাটুনী তার পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে
দেবী ব্যাজস্তুতি অলংকারের মাধ্যমে তার পরিচয় দিয়ে বললেন যে তিনি শিবের
ঘরণী। দেবী বিশেষণে সবিশেষ পরিচয় দিয়ে বললেন যে তার স্বামী পরমকুলীন এবং
পিতামহ তাকে অন্নপূর্ণা নাম দিয়েছেন। তার স্বামী বামদেব অর্থাৎ শিব। তিনি কালােত্তীর্ণ
সিদ্ধপুরুষ। তার ত্রিনয়নে অগ্নির অবস্থান। তার স্বামীর আর এক নাম পঞ্চানন। তিনি
সমুদ্রমন্থনকালে কণ্ঠে বিষ ধারণ করে দেবকুলকে রক্ষা করেছিলেন। গঙ্গা নামে তার
এক সতীন আছে। তিনি মহাদেবের জটায় বিরাজ করেন। শিব ভূত-প্রেত সঙ্গে নিয়ে
শ্মশানে-মশানে বিচরণ করেন। তাঁর ভাই হলেন মৈনাক পর্বতমাঝ-সমুদ্রে যার
অবস্থান। অন্নপূর্ণার পিতা ‘পাষাণ’ অর্থাৎ হিমালয়। এইভাবে আপন পরিচয় অলংকৃত
ভাষায় ব্যক্ত করার পর পাটুনী বলল যে সংসারে যেখানে কুলীন জাতি সেখানেই
রয়েছে দ্বন্দু-অসন্তোষ। দেবী যখন নৌকায় চড়লেন তখন পাটুনী তাকে জলের উপর
পা রাখতে নিষেধ করলেন। কারণ জলে কুমিরের ভয় আছে। পাটুনীর বাক্যে জগন্মাতা।
অন্নপূর্ণা সেঁউতীর উপর যখন পা-দুখানি রাখলেন তখনই কাঠের সেঁউতী সােনায়।
পরিণত হল। পাটুনী বুঝলেন, এ সাধারণ মেয়ে নয়, দেবী। তীরে নেমে দেবী যখন
পূর্বদিকে গমন করলেন তখন হাতে সেউতী নিয়ে পাটুনী তার পিছন পিছন চলতে
লাগলেন। দেবী তাকে দেখে বললেন যে তিনিই অন্নপূর্ণা। চৈত্র মাসে শুক্লা অষ্টমীতে
তার পূজা হয়। তিনি এতদিন হরিহাড়ের বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু সেখানে দ্বন্দ্ব-কলহের
কারণে তিনি বর্তমানে ভবানন্দ মজুমদারের বাড়িতে অবস্থান করবেন। এরপর অনুগdf ।
বৰ দান করে বললেন যে তার সন্তান চিরকাল 'দুধে-ভাতে' থাকবে। এরপর দেবী
অদশ্য হলেন। পাটুনী পুনর্বার ফিরে দেবীকে আর দেখতে পেলেন না।

অন্নদার আত্মপরিচয়, ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর

কবি পরিচিতি : ১৭১২ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার
অন্তর্গত পেড়াে গ্রামে কবি ভারতচন্দ্র রায়ের জন্ম হয়। তার পিতার নাম ছিল নরেন্দ্রনারায়ণ রায়। তিনি ছিলেন অভিজাত রাজবংশের সন্তান এবং কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের উত্তরপুরুষ। কবির
মাতার নাম ছিল ভবানী দেবী। পিতার আর্থিক দুরবস্থার জন্য কবিকে বাল্যকালে মাতুলালয়ে অতিবাহিত করতে হয়। তিনি
চোদ্দ-পনেরাে বছর বয়েসেই সংস্কৃত ভাষায় ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। পরে ফারসি - ভাষাতেও দক্ষতা অর্জন করেন। কবির জীবন ছিল খুবই দুর্ভাগ্যপূর্ণ। নিজের মনােমতাে পাত্রীকে বিবাহ করা ফলে তিনি আত্মীয়স্বজন কর্তৃক পরিত্যক্ত হন। দুর্ভাগ্যও তার পিছনে পিছনে ঘােরে। বর্ধমান রাজার কাছে আর্জি পেশ করতে গিয়ে তিনি কারারুদ্ধ হন। নানা ভাগ্য বিপর্যয়ের পর তিনি মহারাজ
কৃষ্ণচন্দ্রের নজরে পড়েন এবং মহারাজের সভাকবি নিযুক্ত হন। তার কবিত্বশক্তির
জন্য মহারাজ তাকে রায়গুণাকর' উপাধিতে ভূষিত করেন। মহারাজ প্রদত্ত মুলাজোড়া
গ্রামেই তিনি মাত্র ৪৮ বছর বয়সে দেহত্যাগ করেন। সময়টা ছিল ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দ।
‘অন্নদামঙ্গল’ কবির সর্বশ্রেষ্ঠ রচনা। এছাড়া তিনি ‘নাগাষ্টক’ ও ‘রসমঞ্জরী' কাব্য।
এবং সংস্কৃত ও হিন্দি মিশ্রভাষায় 'চণ্ডী’ নামে একটি নাটকও রচনা করেছিলেন।
তিনি ছিলেন একাধারে কবি ও ছান্দসিক। মধ্যযুগের কবিরা যেখানে পয়ার-ত্রিপদী।
ছন্দের বাইরে যেতে পারেন নি, ভারতচন্দ্র সেখানে ছদস্রষ্টা ও ছন্দশিল্পী রূপে প্রতিষ্ঠা
লাভ করেছিলেন। তার কাব্যে পয়ার-ত্রিপদীও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। তিনি একাধিক
সংস্কৃত ছন্দকে বাংলায় প্রয়ােগ করেছেন। তার ছন্দ ব্যবহার আধুনিক যুগের
ছান্দসিকদেরও আলােচনার বিষয়বস্তু। মােহিতলাল মজুমদার বলেছেন, “ভারতচন্দ্রের ছন্দের মধ্যে স্বাভাবিক স্বরভঙ্গি ফুটে উঠেছে।” তার কাব্যে রয়েছে প্রসাদ গুণ। বাংলা
ভাষাকে আধুনিক করে তােলার ক্ষেত্রেও তার অবদান কম নয়। ফারসি, হিন্দি, সংস্কৃত
থেকে অজস্র শব্দ গ্রহণ করে বাংলা কাব্যের শব্দভাণ্ডার তিনি বিস্তৃত করেছিলেন,
বাংলা ভাষার প্রকাশ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলেছিলেন অনেকটা। তার কাব্যের
সমালােচকরা তাকে প্রাচীন বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ কথাশিল্পী' বলে অভিহিত করে
থাকেন। অলংকার প্রয়ােগেও তিনি ছিলেন অভিনব। শব্দালংকার ও অর্থালংকার তার
হাতে বাজিকরের পুতুল হয়ে উঠেছে। বাংলা কাব্যের আসরে ভারতচন্দ্রের আসন যে
প্রথম শ্রেণির কবিদের পংক্তিতে সুপ্রতিষ্ঠিত রয়েছে তার জন্য তার অমর কাব্য
'অন্নদামঙ্গল’-এর কাছেই তিনি ঋণী। মধ্যযুগের কবি হয়েও ভারতচন্দ্র আধুনিক মননের
কবি। তিনিই যথার্থ অর্থে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের শুভ সূচনা করেছেন।


bangla solutions class 12 assam

Class 12 Bangla Solutions.
Solutions for Class 12 Bangla
Assam board Bangla 
ahsec Bangla Class 12 Grammer
Bangla Class 12 Solutions.

উপরে ক্লিক করুন

ক্লাস 12 বাংলা উত্তর
আসাম বোর্ড বাংলা (নতুন)
উত্তর সহ পরীক্ষা র প্রশ্নপত্র 2019 , বাংলা আসাম।
ভালো লাগলে অবশ্যই সেয়ার করবেন






ahsec practical question papers
class 12 assamese book seba
assam year book 2019 pdf download
class 12 alternative english book
seba books pdf
hs important question 2020
class 12 assamese question answer
ncert assamese book class 6
ncert assamese book class 10
seba board books
ncert assamese book class 8
hs 2nd year science notes
alternative english class 12 guide
ahsec syllabus 2019
sos assam syllabus
ncert assamese book
dapun book
hs 1st year assamese notes
bioresources of assam class 12 notes
hs 1st year education question answer
hs 2nd year history book
hs 1st year education syllabus
ahsec class 11 chemistry syllabus
ahsec assamese question paper
assam year book pdf
blueprint for ahsec 2020
seba textbooks
class 2 assamese book
scert class 8 social science assam
assam state board textbooks pdf
hs 2nd year english syllabus 2020
h.s. 1st year question paper
ahsec syllabus for hs 1st year science
hs 1st year arts subjects
alternative english class 12 ahsec
ahsec blueprint 2020
hs 2nd year assamese question answer
model question bank prepared by ahsec
hs 2nd year question paper 2019 arts
hs 2nd year english question answer
hs 2nd year political science question answer

উত্তর সহ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ২০১৯ বাংলা ,আসাম

উত্তরসহ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র-২০১৯
১। অর্থ লেখ :

(ক) কণ্টক অথবা অকস্মাৎ
উত্তর। কণ্টক-কাটা।।

অকস্মাৎ-হঠাৎ বা সহসা।
(খ) অর্বাচীন অথবা জীবিকা
উত্তর। অর্বাচীন—স্বল্প/অল্প বয়স্ক, স্বল্প বুদ্ধি সম্পন্ন।

জীবিকা–বেঁচে থাকার উপায়/জীবনধারণের উপায়।
২। অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
(ক) গােবিন্দদাসকে কী উপাধি দেওয়া হয়েছিল?
উত্তর। দ্বিতীয় বিদ্যাপতি।
(খ) অন্নদার আত্মপরিচয়’ কবিতাটি কোন কাব্যের অন্তর্গত?
উত্তর। কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের লেখা 'অন্নদামঙ্গল কাব্যের অন্তর্গত।

(গ) বঙ্গভাষা' কবিতাটির কবির নাম কী?
উত্তর। মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
(ঘ) ফুলের বিবাহ' শীর্ষক পাঠটি কোন গ্রন্থের অন্তর্গত?
উত্তর। কমলাকান্তের দপ্তর’ গ্রন্থের অন্তর্গত।
(ঙ) আমাদের বাড়ির সাহায্যে ......... বলিয়া একটি মেলা সৃষ্ট হইয়াছিল।    (শূন্যস্থান পূর্ণ কর)
উত্তর। হিন্দুমেলা।

(চ) মাের জীবন সেঅরণ’ গ্রন্থটির অনুবাদক কে?
উত্তর। আরতি ঠাকুর।

(ছ) “দিবসের শেষে’ ছােটগল্পটির লেখক কে?
উত্তর। জগদীশ গুপ্ত।
(জ) কৈশােরকাল শিশুবিকাশের কোন স্তর?
উত্তর। তৃতীয় স্তর।
(ঝ) কত সালে জাতীয় শিক্ষা এবং গবেষণা পরিষদ চুরাশি এ মূল্যবােধের তালিকা প্রস্তুত করেছে?
উত্তর। ১৯৭৯ সালে।

৩। সংক্ষেপে লেখ।

(ক) শিবসাগরকে মাছধরা জায়গা’ বলা হত কেন?
উত্তর। ক্লিক

(খ) হাতীর বাচ্চাটি দেখতে চমৎকার’-হাতীর বাচ্চাটির বর্ণনা দাও।
উত্তর। কচ্ছি ভদ্রলােকের কাছ থেকে উপহারস্বরূপ পাওয়া হাতির বাচ্চাটি দেখতে।
পর ছিল। হাতির চোখগুলাে ছিল দুষ্টু দুষ্ট, শুড়টাও ছিল ছােট্ট ।

৪। টীকা লেখ :                            ৩+৩=৬
(ক) পাটনি অথবা বাউল
উত্তর। পাটুনি:  প্রকার ভেদে পাটুনী কখনও ‘পাটনি’ বা ‘পাটুনি’তে পরিণত হয়েছে।
খেয়া পারাপারের মাঝিকে বলা হয় পাটনী। নদী-নালা-খাল-বিল-হাওরযুক্ত বাংলায়
এই পাটুনী সমাজ আজও এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। শতাধিক বছর।
আগে মাঝির দায়িত্বে শুধ পরুষ নয়, মেয়েরাও ছিলেন। তবে সনা
মনে করেন আলােচ্য কবিতায় পাটনী স্ত্রীলােক। কারণ প্রথমত, মাঝির নাম ।
ঈশ্বরী (স্ত্রীলিঙ্গবাচক শব্দ) এবং দ্বিতীয়ত, কঁাখে সেঁউতী নিয়ে যাওয়া (সেউতী
 লইয়া কক্ষে চলিল পাটুনী)। সাধারণত পুরুষেরা কাঁখে কোন জিনিস বহন করে
তাই ঈশ্বরী মাঝিকে এই দুই অর্থে স্ত্রী-জাতি বলে ধরা হয়।

বাউল :বাংলার সহজিয়া সাধকদের সাধনসংগীত বাউল। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে।
হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই বাউল সাধনায় অংশ নিতে পারেন।

(খ) দিসাং নদী অথবা জ্যোতিদাদা।
উত্তর। দিসাং  এটি একটি নদী। আসামে এই নদী দিসাং নামেও সুপরিচিত। অরুণাচলের।
পাটকই পাহাড়ে এর উৎস। টিরাপ এবং নাগাল্যান্ডের মােন্ জেলা থেকে প্রবাহিত।
হয়ে ডিব্ৰুগড় ও শিবসাগরে এসে ব্রহ্মপুত্রের দক্ষিণ দিকে মিশেছে। ঋতু বিশেষে নানা পরিযায়ী পাখির আনাগােনা হয় এই নদীতে । 
জ্যোতিদাদা : জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর (৪.৫.১৮৪৯-৪.৩.১৯২৪) হলেন রবীন্দ্রনাথের
জ্যোতিদাদা। তিনি রবীন্দ্রনাথের বাল্যকালের অন্তরঙ্গ সঙ্গী ছিলেন। অসাধারণ।
প্রতিভার অধিকারী জ্যোতিদাদা সাহিত্যচর্চা, অঙ্কনবিদ্যা এবং সংগীতে পারদর্শী ছিলেন।

৫। যে-কোন চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৩x৪=১২
(ক) হীরু দত্ত গ্রামের লােকদের কাছে কী প্রতিজ্ঞা করেছিলেন এবং সেই প্রতিজ্ঞানুসারে তিনি কী করেছিলেন?
উত্তর।
(খ) শিবসাগরকে শেষ পর্যন্ত লেখকের পছন্দ হয়েছিল কেন? 
উত্তর। প্রথম অবস্থায় লেখকের শিবসাগর সম্পর্কে ভালাে ধারণা ছিল না। আসামকে।
কেউ কেউ মাছধরা জায়গা’ বলে ঠাট্টা করতেন। কিন্তু শিবসাগর যে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী
ও মহিমামণ্ডিত স্থান এই কথা উপলব্ধি করে লেখকের মনে বিরূপ ভাব ক্রমশ কমে গেল।
প্রাচীনকালের বিশাল বরপুখুরী বা বড় পুকুর পাড়ে অবস্থিত বিষ্ণুদেউল, দেবীদেউল ও
মাঝখানে থাকা শিবদেউল লেখকের মন আকৃষ্ট করেছিল; অর্থাৎ শিবসাগর সম্পর্কে
লেখকের মনে প্রথম অবস্থায় সৃষ্টি হওয়া বীতরাগ ধীরে ধীরে অনুরাগে রূপান্তরিত হল।
তার সঙ্গে দিখৌ নদীর অপর পারে অবস্থিত রং ঘর, কারেং ঘর, তলাতলি ঘর, জয়সাগরের
 দেউল ও জয়সাগর নামে প্রকাণ্ড পুষ্করিণী লেখকের মন আনন্দাপ্লুত করে তুলেছিল। তার
ফলেই লেখকের মনে শিবসাগর পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছিল।
 (গ) কার উদ্যোগে রবীন্দ্রনাথদের সভা গঠিত হয়েছিল? এটি কিসের সভা ?এই সভার সভাপতি কে ছিলেন?
উত্তর। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে, স্বাদেশিকথার সভা, রাজনারায়ণ বসু।
ঘ) ‘ফুলের বিবাহ গদ্যাংশটির লেখক কে? ফুলের বিবাহ কোন মাসের কত তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল?
উত্তর। ফুলের বিবাহ’ গদ্যাংশটির লেখক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
      ফুলের বিবাহ বৈশাখ মাসের এক তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।
(ঙ) “ছেলের আমার, এতক্ষণে হাসি ফুটেছে।”
উক্তিটি কোন্ পাঠ থেকে নেওয়া হয়েছে? বক্তা কে? ছেলের মুখে
হাসি ফোটবার কারণ কী?
উত্তর। উক্তিটি জগদীশ গুপ্তের “দিবসের শেষে’ পাঠ থেকে নেওয়া হয়েছে।

[পৃষ্ঠা ২১৬; প্রশ্ন ৫]
| ৬। যে-কোন তিনটি প্রশ্নের উত্তর দাও।

৩x৩=৯
(ক) গােবিন্দদাস কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন? তার পিতা ও পিতামহের

নাম লেখ।
উত্তর। গােবিন্দদাস বর্ধমান জেলার কাটোয়ার শ্রীখণ্ড গ্রামে নিজ মাতুলালয়ে

জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম চিরঞ্জীব সেন ও পিতামহের নাম
পণ্ডিত দামােদর দাস সেন।
(খ) “অতি বড় বৃদ্ধ পতি সিদ্ধিতে নিপুণ।

কোন গুণ নাহি তার কপালে আগুন।।”

পঙক্তি দুটিতে দ্ব্যর্থবােধক ভাষায় যে কথা বলা হয়েছে তা

স্পষ্ট কর।
উত্তর। [পৃষ্ঠা ৩০; প্রশ্ন ১১]।
(গ) রাজাধিরাজ রথ থেকে পথের দুধারে কী ছড়িয়ে দেবেন

নিয়ে ভিখারি কী করবেন বলে ভেবেছিলেন?
উত্তর। [পৃষ্ঠা ৫৮; প্রশ্ন ।
(ঘ) কুলিমজুর' কবিতায় পাহাড় ভাঙার জন্য কোন কোন হাতিয়ার

ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর। [পৃষ্ঠা ৮৫; প্রশ্ন ২]
৭। উত্তর দাও :
| (ক) কৈশােরকালের যে-কোন্ দুটি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলােচনা কর।
উত্তর। [পৃষ্ঠা ২৯০; প্রশ্ন ১]

৪৫০

থর দুধারে কী ছড়িয়ে দেবেন এবং তা

৪x২=৮

| অথবা,
“আত্মনির্ভরশীলতা, আত্মসম্মান বােধ ও নিজস্বতার সংঘাত

কৈশােরকালের অন্যতম বৈশিষ্ট্য-আলােচনা কর।
উত্তর। [পৃষ্ঠা ২৯২; প্রশ্ন ৪]
| (খ) মূল্যবােধ শিক্ষা কি তােমার আবশ্যক বলে মনে হয়? তােমার উত্তরের

সপক্ষে যুক্তি দাও।
উত্তর। [পৃষ্ঠা ২৭২; প্রশ্ন ৩] ।

অথবা,
যে-কোন দুটি মূল্যবােধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলােচনা কর।
উত্তর। [পৃষ্ঠা ২৭১; প্রশ্ন ১]
৮। সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা কর।

৪+৫=৯
(ক) আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে'।
উত্তর। (পৃষ্ঠা ৩৪; প্রশ্ন ৫]।

|

অথবা,

‘একের অসম্মান।
নিখিল মানব জাতির লজ্জা–
সকলের অপমান!
উত্তর। [পৃষ্ঠা ৯১; প্রশ্ন ২]।

(খ) “যাহারা ভীরু তাহারাই বহু ব্যর্থ সাধনা ও মৃত্যুভয়ে পরা

থাকেন। বীর পুরুষেরাই নির্ভীক চিত্তে মৃত্যুভয়ের অতাত ২

সমর্থ হন।”
উত্তর। [পৃষ্ঠা ১৮৬; প্রশ্ন ৬]
অথবা,
“তাহলে আর টাকার দরকার হবে না পােদ্দার। গয়নাগুলাে তুমি

ফেরত দিয়া যাও।”
উত্তর। [পৃষ্ঠা ২৪০; প্রশ্ন ৯]

৫+৫=১০
. ক-অংশ ও খ-অংশ থেকে একটি করে প্রশ্নের উত্তর দাওঃ
(ক) অন্নদার আত্মপরিচয়' কবিতাটিতে তৎকালীন সমাজের যে ছবি ফুটে।

উঠেছে তা নিজের ভাষায় বর্ণনা কর।
উত্তর। [পৃষ্ঠা ৩২; প্রশ্ন ৩]

অথবা,
বঙ্গভাষা' কবিতায় কবির আত্ম-অনুশােচনার কারণ নির্দেশ কর।
উত্তর। [পৃষ্ঠা ৪৮; প্রশ্ন ২]

(খ) উচ্ছবের খিদের বর্ণনাই ভাত’ গল্পের মূল বিষয়। আলােচনা কর।
উত্তর। [পৃষ্ঠা ২৫৪; প্রশ্ন ৪]।

অথবা,
| ‘গণেশ জননী’ গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার কর।
উত্তর। [পৃষ্ঠা ২৩৭; প্রশ্ন ৬]
১০। নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :
| (ক) নিচের যে-কোন চারটি প্রবাদ-প্রবচনের অর্থ লেখ : ১x৪=৪

গঙ্গাজলে গঙ্গা পূজা, জুতাে সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ, ঝােপ বুঝে কোপ

মারা, ছাই ফেলতে ভাঙা কুলাে, উলুবনে মুক্তা ছড়ানাে।
| উত্তর। গঙ্গাজলে গঙ্গা পূজা—(যার জিনিস তা দিয়েই তাকে অভ্যর্থনা করা।)

জুতাে সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ—(সকল প্রকার কাজ সম্পাদনা করা।)
ঝােপ বুঝে কোপ মারা—(সুযােগের সদ্ব্যবহার করা)
ছাই ফেলতে ভাঙা কুললা—(নগণ্য কাজের ব্যক্তি/পৃষ্ঠা ৩০০; অর্থ।
২৬)।

উলুবনে মুক্তা ছড়ানাে—(অপাত্রে মূল্যবান জ্ঞান বিতরণ।)
(4) নিচের যে-কোন চারটি বাগবিধির অর্থ লেখ ও বাক্যরচনা কর ।

২x৪=৮
গােবর গণেশ, ইচড়ে পাকা, অন্ধের যষ্টি, অরণ্যে রােদন, চোখের

বালি, তীর্থের কাক।।
(গ) নিচের যে-কোন তিনটির ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় কর।

গুরুশিষ্য, উপকূল, পঞ্চবটী, ঘরজামাই, দশানন।
উত্তর। গুরুশিষ্য = গুরু ও শিষ্য~দ্বন্দ্ব সমাস। [সমাস]
(ঘ) নিচের যে-কোন দুটি শব্দের দুটি করে প্রতিশব্দ লেখ। ১+১=২
অশ্ব, আকাশ, চন্দ্র, পক্ষী।
উত্তর। প্রতিশব্দ
১১। যে-কোন একটি বিষয়ে রচনা লেখ :     ১০

(ক) অসমের কুটির শিল্প
উত্তর। ক্লিক

(খ) তােমার প্রিয় কবি
উত্তর। ক্লিক

(গ) দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের প্রভাব।
উত্তর। ক্লিক
(ঘ) পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার।
উত্তর। ক্লিক

Class 12 Bengali Assam Board
উত্তরের জন্য ক্লিক করবেন। আর উত্তর বাকি বা ফাঁকা থাকলে অবশ্যই জানাবেন।

বাগবিধি বাগধারা

১।আ-ক-খ (প্রাথমিক জ্ঞান)—যন্ত্র সম্পর্কে কোন অ-আ-ক-খ জ্ঞান নেই অথচ
নিজেকে যান্ত্রিক বলে পরিচয় দিয়ে ধীরেন খুব বিপদে পড়েছিল।
২।অকালকণ্ড (অপদার্থ ব্যক্তি)—হরিহরের মতাে অকালকুষ্মাণ্ডকে দিয়ে কোনাে
কাজ হতে পারে না।
৩। অক্কা পাওয়া (মরে যাওয়া—লঘু অর্থে)—বুড়ির অক্কা পাওয়ার সময় হয়েছে,

তবুও ঝগড়াটে স্বভাব যায়নি।
৪। অকুলপাথার (গভীর সংকটময় অসহায় অবস্থা)—মাতাপিতার মৃত্যুর পর নির্বান্ধব

ভাইবােন দুটি অকূলপাথারে ভাসতে লাগল।
৫। অকূলে কূল পাওয়া (বিপদ হতে মুক্তির আশা)—আমার এই দুঃসময়ে তােমাকে

দেখে অকূলে কূল পেলাম।
৬। অগত্যযাত্রা (চিরকালের মতাে বিদায়)—তিনি যুদ্ধক্ষেত্র হতে আর ফিরলেন না;

যেন অগস্ত্যযাত্রা করলেন।
৭। অগ্নিশর্মা (অত্যন্ত ক্রুদ্ধ )—আফিং নেই শুনলে দাদু অগ্নিশর্মা হয়ে উঠবেন।
৮। অতি দর্পে হত লঙ্কা (অহঙ্কার করলে পতন হয়)—আমরা সবাই জানি অতি দর্পে।
| হত লঙ্কা।
১। অতি লােভে তাঁতি নষ্ট (অতি লােভের ফল ভালাে হয় না)—রামবাবু নির্বাচনে

দাঁড়িয়ে সর্বস্বান্ত হলেন, অতি লােভে তাঁতি নষ্ট। | [উঃ মাঃ ২০১২]
১০। অথৈ জল (দুরন্ত বিপদ)—একে বিদেশে আছি, তার উপর হাতে একটাও পয়সা
নেই—আমি অথৈ জলে পড়লাম।

১১। অন্ধকারে ঢিল মারা (অনমানের উপর নির্ভর করা)—এরকম অন্ধকারে ঢিল ছুড়লে।
অপরাধী ধরা পড়বে না।

১২।অন্ধের যষ্ঠি(একমাত্র সম্বল)–স্বজন পরিত্যক্ত বৃদ্ধের কাছে পুরানাে ভৃত্যটি অন্ধের যষ্ঠী।
১৩। অমাবস্যার চাঁদ (যার দর্শন পাওয়া যায় না)-গ্রাম ছেড়ে শহরে গিয়ে এখন
আমাদের কাছে সে অমাবস্যার চাদ হয়ে গিয়েছে। 
১৪। অমৃতে অরুচি (ভালাে জিনিসে অনিচ্ছা)–আগে সবকিছু চেয়ে খেতে, এ
দিলেও খায় না—যেন অমৃতে অরুচি।
১৫। অরণ্যে রােদন (নিল আবেদন)—যুদ্ধলিপ্সু মানুষের কাছে জনগণের শাস্তির আবেদন
অরণ্যে রােদন ছাড়া আর কী!
১৬। অর্ধচন্দ্র দেওয়া (গলাধাক্কা দেওয়া)-প্রবঞ্চক সন্ন্যাসীকে গ্রামের লােকেরা অচল দিয়ে বিতাড়িত করল।

১৭। অষ্টরম্ভা (শূন্য, কিছুই নয়)—অধিকাংশ লােক মুখে অনেক বড় বড় কথা বলে, কিন্তু
কাজের সময় অষ্টরম্ভা।

১৮। অহিনকুল সম্পর্ক (তীব্র শত্রুতা)—দুই প্রতিবেশীর মধ্যে অহি-নকুল সম্পর্ক, কেউ।

কারও মুখ দেখে না।
১৯। আঁতে ঘা (মনে আঘাত দেওয়া)—ও রকম আঁতে ঘা দিয়ে কথা বলা উচিত নয়।
২০। আকাশকুসুম (অবাস্তব কল্পনা)—তীব্র সংকটের দিনে আকাশকুসুম কল্পনা করে

লাভ নেই।
২১। আকাশ থেকে পড়া (বিস্মিত হওয়া)—পিতার মৃত্যুর কথা শুনে তিনি একেবারে

আকাশ থেকে পড়লেন।
২২। আকাশ-পাতাল (বিরাট পার্থক্য)—সাহস এবং দুঃসাহসের মধ্যে আকাশ-পাতাল প্রভেদ।
২৩। আক্কেল গুড়ুম-(কিংকর্তব্যবিমূঢ় )—অর্ণবের হাতের লেখা দেখে আমার আক্কেল
গুড়ুম হয়ে গেল।
২৪। আক্কেল সেলামি (অনভিজ্ঞতার দণ্ড)—পরের দায় ঘাড়ে নিয়ে অনেক টাকা আক্কেল
সেলামি দিলাম।

২৫। আবােলতাবােল (বাজে কথা)—এরকম আবােলতাবােল কথার মাথামুণ্ডু কিছুই।
 বুঝলাম না।
২৬। আষাঢ়ে গল্প (কাল্পনিক কাহিনি)—এরকম আষাঢ়ে গল্প শুনতে চাই না।


২৭। আমড়া কাঠের টেকি (অপােত্ত)—সুধীরকে কোন কাজের দায়িত্ব দিয়ে লাভ নেই।

সে একটা আমড়া কাঠের টেকি, সব পণ্ড করে ছাড়বে।
২৮। আলালের ঘরের দুলাল (বিত্তশালী ঘরের নিষ্কর্মা আদুরে ছেলে)—নরেন আলালে।

ঘরের দুলাল, দেখতেই রাজপুত্র গুণের বেলায় শূন্য।
২৯। আঠারাে মাসে বছর (দীর্ঘসূত্রতা)—ননীকে দিয়ে এত তাড়াতাড়ি কাজ করানো।

যাবে না, তার তাে আঠারাে মাসে বছর।
৩০। ইচড়ে পাকা (অকালপক্ক)—হঁচড়ে পাকা ছেলে এই বয়সেই বিড়ি ধরেছে।

ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয়:

ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় ঃ

১। অজ্ঞান = ন জ্ঞান যার—বহুব্রীহি সমাস।
২। অত্যাচার = অতি যে আচারকর্মধারয় সমাস
৩। অদ্বিতীয় = ন দ্বিতীয় যার—বহুব্রীহি সমাস।
৪। অধরপল্লব = অধর পল্লবের ন্যায়—উপমিত কর্মধারয় সমাস
৫। অনভিজ্ঞ = নয় অভিজ্ঞ—নঞ তৎপুরুষ সমাস
৬। অনাদি = নাই আদি যার—ন বহুব্রীহি সমাস।
৭। অনাহার = আহারের অভাব—অব্যয়ীভাব সমাস।
৮। অনুজ = অনুতে (পশ্চাতে) জন্মে যে—উপপদ তৎপুরুষ সমাস
৯। অন্ধকারে = অন্ধ কারে যেন—উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
১০। অন্যমনস্ক = নয় মনস্ক—নঞ তৎপুরুষ সমাস

১১। অবােধ = নাই বােধ যার—নএ বত্রীহি সমাস।
| ১২ অব্যক্ত = ব্যক্ত নয়—নঞ তৎপুরুষ সমাস।

১৩। অভ্যন্তরস্থ = অভ্যন্তরে স্থিত—অধিকরণ তৎপুরুষ সমাস
১৪। অভ্রান্ত = নয় ভ্রান্ত—নঃ তৎপুরুষ সমাস
১৫। অমিল = মিলের অভাব—নঞ তৎপুরুষ সমাস। [উঃ মাঃ ২০১৮]
১৬। অশােক = নাই শােক যার—নঞ বহুব্রীহি সমাস।
১৭। অশ্বারােহ = অশ্বে আরােহণ করে যে—উপপদ তৎপুরুষ সমাস
১৮। অষ্টধাতু = অষ্ট ধাতুর সমাহার—দ্বিগু সমাস।
১৯। অসহযােগ = সহযােগিতার অভাব—অব্যয়ীভাব সমাস [উঃ মাঃ ২০১৩]
২০। অসুস্থ = নয় সুস্থ-নঞ তৎপুরুষ সমাস।
২১। আগাগােড়া = আগা হইতে গােড়া পর্যন্ত—অপাদান তৎপুরুষ সমাস
২২। আলুসেদ্ধ = সিদ্ধ যে আলু–কর্মধারয় সমাস
২৩। আশেপাশে = আশে ও পাশে—দ্বন্দ্ব সমাস।
২৪। উচ্ছিষ্টভােজী = উচ্ছিষ্ট ভােজন করে যে—উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
২৫। উত্তরােত্তর = উত্তর ও উত্তর—দ্বন্দ্ব সমাস ।
২৬। উপকথা = কথার সদৃশ—অব্যয়ীভাব সমাস
২৭। উপকূল = কূলের সদৃশ—অব্যয়ীভাব সমাস [উঃ মাঃ ২০১৩, '১৭, ১৮]
২৮। উপগ্রহ = গ্রহের সদৃশ—অব্যয়ীভাব সমাস।
২৯। উপবন = বনের সদৃশ—অব্যয়ীভাব সমাস।

[উঃ মাঃ ২০১২]
৩০। উপদ্বীপ = দ্বীপের সদৃশ—অব্যয়ীভাব সমাস। [উঃ মাঃ ২০১৬]
৩১।

উপবিভাগ = ক্ষুদ্র বিভাগ—অব্যয়ীভাব সমাস
৩২। কথাবার্তা = কথা ও বার্তা—সমার্থক সমাস।
৩৩। কদাকার = কু আকার যার—বস্ত্রীহি সমাস।
৩৪। কাকাবাবু = কাকা যে বাবু—কর্মধারয় সমাস।
৩৫। কাজলকালাে = কাজলের ন্যায় কালাে—উপমান কর্মধারয় সমাস
৩৬। কুবের = কু (খারাপ) বের (দেহ) যারবহুব্রীহি সমাস
৩৭ | কুলদেবতা = কুলের দেবতা—সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস।
৩৮। কুসুম কোমল = কুসুমের মতাে কোমল—কর্মধারয় সমাস
৩৯। কোচাহাতে = কোচা হাতে—অলুক তৎপুরুষ সমাস।
৩০। ক্ষমাসুন্দর = ক্ষমা দ্বারা সুন্দরকরণ তৎপুরুষ সমাস।
৪১। খনিজ = খনিতে জন্মে যা—উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
৪২। খাসমহল = খাস যে মহলকর্মধারয় সমাস।
ত্রিভুবন = তিন ভুবনের সমাহার—দ্বিগু সমাস 
দম্পতি = জায়া ও পতি -দ্বন্দ্ব সমাস।

দশহাতি = দশ হাত (পরিমাণ) যার বহুব্রীহি সমাস।
 দশানন = দশ আনন যার-বহুব্রীহি সমাস

৪৭। দানসামগ্ৰী = দানের নিমিত্ত সামগ্রী–সম্প্রদন তৎপুরুষ সমাস
৭৮। দু'কড়ি = দুটি কড়ির বিনিময় ক্রীত—দ্বিগু সমাস
৭৯। দুধেভাতে = দুধে ও ভাতে-স্বন্দ্ব সমাস ।
৮০। দুর্ভিক্ষ = ভিক্ষার অভাব-অব্যয়ীভাব সমাস।
৮১। দেবর্ষি = যিনি দেব তিনিই ঋষি-কর্মধারয় সমাস
৮২। দেশান্তর = অন্য দেশ অব্যয়ীভাব সমাস। 
৮৩। দ্বীপ = দ্বীপ দ্বারা পরিবেষ্টিত যে-উপপদ তৎপুরুষ সমাস
৮৪। ধর্মবহ্নি = ধর্ম রূপ বহি—রূপক কর্মধারয় সমাস
৮৫। নবরত্ন = নব রত্নের সমাহার——দ্বিগু সমাস
৮৩। নরাধম = নর মধ্যে অম-৭মী তৎপুরুষ সমাস।
৮৭। নিত্যক্রিয়া = নিত্য রা হয় যে ক্রিয়া—মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস
৮৮। নির্ধন = নিঃ (নাই) ধন যার—বহুব্রীহি সমাস
৮৯। নির্ভর = নাই ভর— তৎপুরুষ সমাস।
০। নিরামিষ = নিঃ আমিষ যাতে—বহুব্রীহি সমাস
 নিরূপমা = নাই উপমা যার (স্ত্রী) বহুব্রীহি সমাস
 নীললােহিত = যাহা নীল তাহাই লােহিত—কর্মধারয় সমাস । নীলাকাশ = নীল যে আকাশ-কর্মধারয় সমাস। |
। নীলােৎপল = নীল যে উৎপল-কর্মধারয় সমাস
। পঞ্চবটা = পঞ্চ বটের সমাহার—দ্বিগু সমাস
 পঞ্চভূত = পঞ্চ (পাঁচটি) ভূতের সমাহার—দ্বিগু সমাস
। পঞ্চানন = পঞ্চ আনুন যারবত্রীহি সমাস
। পদ্মানদী = পদ্মা নাম্নী নদী——মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস।
 পরােক্ষ = অক্ষির অগােচর-অব্যয়ীভাব সমাস।
। পশুপক্ষী = পশু ও পক্ষীদ্বন্দ্ব সমাস 
। পাঁচভরি = চ ভৰি পরিমাণ যার-বহুব্রীহি সমাস।
। পাপমতি = পালে মতি যার—বহুব্রীহি সমাস।
। পিতাপ = পিতা ও পত্র-দ্বন্দ্ব সমাস।
 পিতামাতা = পিতা ও মাতা-জ্বন্দ্ব সমাস
। পীতাম্বর = শীত অম্বর যার-বাহি সমাস ৩
গগনভেদী = গান ভেদ করে যে—উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
। গরমিল = মিলের অভাব অব্যয়ীভাব সমাস।
। গাছপাকা = গাছে পাকা-৭মী তৎপুরুষ সমাস  .
। গায়ে হলুদ = গায়ে হলুদ দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে—অলুক বহুব্রীহি সমাস



। ঘনশ্যাম = ঘনের (মেঘের) ন্যায় শ্যাম—উপমান কর্মধারয় সমাস।


 ঘরজামাই = ঘরে পালিত জামাই—মধ্যপদলােপী কর্মধারয়।
ঘিভাত = যি দ্বারা মা ভাত—কর্মধারয় সমাস।
। চন্দ্রচূড় = চুড়ায় চন্দ্র যার—বহুব্রীহি সমাস
। চন্দ্ৰাপীড় = চন্দ্র আপীড় (শিরােভূষণ) যার-ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস
। চরণকমল = চরণ কমলের ন্যায় উপমিত কর্মধারয় সমাস।
।চরিতামৃত = চরিত (চরিত্র) অমৃতের তুল্য উপমিত কর্মধারয় সমাস
 চিকিৎসাশাস্ত্র = চিকিৎসা বিষয়ক শাস্ত্র মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস
চিরকাল = চির কাল—নিত্য সমাস।

 (বিকল্পে) চির যে কাল—কর্মধারয় সমাস
চিহ্নমাত্র = শুধুই চিহ্ন—নিত্য সমাস
 চৌমাথা = চারি মাথার সমাহার—দ্বিগু সমাস। 
চৌরাস্তা = চারটি রাস্তার সমাহার—দ্বিগু সমাস
 ছিন্নতন্ত্র = ছিন্ন যে তন্ত্র—কর্মধারয় সমাস,
 ছেলেমানুষ = ছেলে এমন মানুষ কর্মধারয় সমাস
 জন্মাবধি = জন্ম অবধি—অব্যয়ীভাব সমাস।
 ডাতিকুটুম্ব = জাতি ও কুটুম্ব—দ্বন্দ্ব সমাস
 জীবনবীমা = জীবন আশঙ্কায় বীমা—মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস
 টাকাটা = শুধুই টাকা—নিত্য সমাস
 টানাটানি = পরস্পরকে টানা ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস
ঠেলাঠেলি = পরস্পরকে ঠেলা ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস
 ডাকাবুকো = ডাকাতের মতাে বুক যার—বহুব্রীহি সমাস।
 তীর্থোদক = তীর্থের উদযষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
 তৃণশূন্য = তৃণ দ্বারা শুন্যকরণ তৎপুরুষ সমাস
 তেলচিটে = তেল দ্বারা চিটে—তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস।
 তৈলনিষিক্ত = তৈল দ্বারা নিষিক্তকরণ তৎপুরুষ সমাস
 ত্রিতাপ = তিনটি তাপের সমাহার—দ্বিগু সমাস
মনমাঝি = মন রূপ মাঝি—রূপক কর্মধারয় সমাস

মন্বন্তর = মনুর অন্তরসম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস
৪০। মশামাছি = মশা ও মাছি—দ্বন্দ্ব সমাস।
১৪১। মহাকাশ = মহা (মহান) যে আকাশ-কর্মধারয় সমাস
১৪২। মহারাজ = মহান যে রাজা–কর্মধারয় সমাস।
১৪। মহাশয় = মহৎ আশয় (চিত্র) যার—বহুব্রীহি সমাস
১৪৪। মাঝদরিয়া = দরিয়ার মাঝ-সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস
১৪৫। মানবজমিন = মানব রূপ জমিন—রূপক কর্মধারয় সমাস
১৪৬। মায়ে-ঝিয়ে = মায়ে ও ঝিয়ে--অলুক দ্বন্দ্ব সমাস।
১৪৭। মুষ্টিমেয় = মুষ্টি দ্বারা মেয় (পরিমেয়)-তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস
১৪৮। মুখেভাত = মুখে ভাত দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে—অলুক বহুব্রীহি সমাস
১৪৯। মৃদুমন্দ = যা মৃদু তা মন্দ—কর্মধারয় সমাস
১৫০। মেঘে ঢাকা = মেঘে (অর্থাৎ মেঘ দ্বারা) ঢাকা—অলক করণ তৎপুরুষ সমাস
১৫১। যন্ত্রঘােড়া = যন্ত্রের নিমিত্ত ঘােড়া নিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস
১৫২। যথারীতি = রীতিকে অতিক্রম না করে—অব্যয়ীভাব সমাস।
১৫৩। যুগান্তর = অন্য যুগ—নিত্য সমাস।
১৫৪। রক্ষশ্রেষ্ঠ = রক্ষকলের শ্রেষ্ঠ যিনি—কর্মধারয় সমাস
১৫৫। রত্নগর্ভা = রত্ন গর্ভে যার এমন জননীব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস
১৫৬। রবীন্দ্রোত্তর = রবীন্দ্রের উত্তর (পর)-ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
১৫৭ রামানুজ = রামের অনুজ—সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস
১৫৮ রাজপথ = পথের রাজা-সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস
১৫৯। রাজপুত = রাজার পুত্র-ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
১৬০। রাজশত্রু = রাজার শত্র—সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস
৬১। রাজ্যপাল = রাজ্যকে পালন করেন যিনি—উপপদ তৎপুরুষ সমাস
১৬২। রাতকানা = রাতে কানা-সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস।
১৬৩। লাঠিপেটা = লাঠির দ্বারা পেটা-করণ তৎপুরুষ সমাস
১৬৪। লাঠালাঠি = লাঠিতে লাঠিতে যে যুদ্ধব্যতিহার বহুব্রীহি [উঃ মাঃ ২০১৬)
১৬৫। শয়নকক্ষ = শয়নের নিমিত্ত কক্ষ নিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস
১৬৬। শরণাগত = শরণকে আগতকর্ম তৎপুরুষ সমাস।
১৬৭। শরশয্যা = শর নির্মিত শয্য-মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস
১৬৮। শশব্যস্ত = শাশকের নায় বাব্দ–উপমান কর্মধারয় সমাস [উঃ মাঃ ২০১২)।
১৬৯। শাখাচ্যুত = শাখা হইতে চত—পঞ্চমী তৎপুরুষ

উঃ মাঃ ২০১৬)

মাস উঃ মাঃ ২০১৭)

পরুষসিংহ = পুরুষ সিংহের ন্যায়-উপমিত কর্মধারয় সমাস [উঃ মাঃ ।
পূর্বলক্ষিত = পূর্বে লক্ষিত-অধিকরণ তৎপুরুষ সমাস
প্রকৃতিগত = প্রকৃতিতে গতকরণ তৎপুরুষ সমাস
প্রতিগৃহে = গৃহে গৃহে-অব্যয়ীভাব সমাস
প্রতিচ্ছবি = ছবির সদৃশ—অব্যয়ীভাব সমাস
প্রতিদিন = দিন দিন—নিত্য সমাস
প্রতিফল = ফলের বিপরীত—অব্যয়ীভাব সমাস।
প্রতিবাদ = বাদের বিরুদ্ধে—অব্যয়ীভাব সমাস।
প্রশ্নকর্তা = প্রশ্ন করে যে—উপপদ তৎপুরুষ সমাস
ফুটিফাটা = ফুটির ন্যায় ফাটা—উপমান কর্মধারয় সমাস
বত্রাঘাত = বস্ত্রের আঘাত-সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস
বনস্পতি = বনের পতি—৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
বন্দুক পিস্তল = বন্দুক ও পিস্তলদ্বন্দ্ব সমাস
বনান্তর = অন্য বন—নিত্য সমাস।
বনেবাদাড়ে = বনে ও বাদাড়ে—অলুক দ্বন্দ্ব সমাস।
বারিধি = বারি ধারণ করে যে—উপপদ তৎপুরুষ সমাস
বেহায়া = হায়া নাই যারনঞর্থক বস্ত্রীহি সমাস
বিংশ শতাব্দী = বিংশ শতাব্দীর সমাহার—দ্বিগু সমাস।
বিপদাপন্ন = বিপদকে আপন্ন—দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস
| বিদ্যাবুদ্ধি = বিদ্যা ও বুদ্ধিদ্বন্দ্ব সমাস।
বিশ্বগ্রাসী = বিশ্বকে গ্রাস করে যে—উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
বীণাপাণি = বীণা পাণিতে যার-ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস [উঃ মাঃ ২০১৩)।
বিস্ময়াপন্ন = বিস্ময়ের দ্বারা আপন্নকরণ তৎপুরুষ সমাস
| বিশ্বামিত্র = বিশ্বের মিত্র—৬ষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
বিদ্যাধন = বিদ্যা রূপ ধন—রূপক কর্মধারয় সমাস।
বীতশােক = বিগত হয়েছে শােক যাহার—বব্রীহি সমাস।
বেগতিক = গতিকের অভাব—অব্যয়ীভাব সমাস।
বেরসিক = ন রসিক—নঞ তৎপুরুষ সমাস।
ব্যক্তিনিরপেক্ষ = ব্যক্তি থেকে নিরপেক্ষ-অপাদান তৎপুরুষ সমাস
ব্যঢ়োরস্ক = বৃঢ় (বিশাল) উরস (বক্ষঃস্থল) যার—বব্রীহি সমাস।
মধুপ = মধু পান করে যে—উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
মনগড়া = মনে গড়া—অধিকরণ তৎপুরুষ সমাস
| শারীরবিদ্যা = শরীর সম্বন্ধীয় বিদ্যা—মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস
| শুভঙ্কর = শুভ করেন যিনি—উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
| শূলপাণি = শূল পাণিতে যার—বহুব্রীহি সমাস।
। শ্মশান = শবের শয়ান—সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস
| শ্রীহীন = শ্রী দ্বারা হীন—করণ তৎপুরুষ সমাস
। সংসারযাত্রা = সংসার যাত্রার ন্যায়—উপমিত কর্মধারয় সমাস
| সকর্দম = কর্দমের সঙ্গে বর্তমান—সহাক বহুব্রীহি সমাস

সতীর্থ = সমান বা একই গুরু যার সহায়ক—বহুব্রীহি সমাস।
সভাস্থ = সভায় স্থিত—অধিকরণ তৎপুরুষ সমাস।
সরােবর = সরঃ (সরস = পদ্ম) জন্মে যাহাতে—উপপদ তৎপুরুষ সমাস
সস্ত্রীক = স্ত্রী সহ বর্তমান—সহাৰ্থক বহুব্রীহি সমাস ।
সহচর = সঙ্গে (সহ) চরে যে—উপপদ তৎপুরুষ সমাস
সহােদর = সহ (সমান) উদর যার—বহুব্রীহি সমাস
সাপেক্ষ = অপেক্ষার সহিত বর্তমান—অব্যয়ীভাব সমাস
সাবধান = অবধানের সহিত বর্তমান—সহাৰ্থক বহুব্রীহি সমাস।
সিংহশাবক = সিংহীর শাবক—সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস।
সিংহশিশু = সিংহের শিশু-ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
সিংহাসন = সিংহ চিহ্নিত যে আসন—মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস।

|

সিদুর কৌটা = সিদুর রাখার কৌটা—মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস
সিতাসিত = সিত ও অসিতদ্বন্দ্ব সমাস
সেতার = সে (তিন) তার যার—সংখ্যা বহুব্রীহি/তদ্ধিতার্থক দ্বিগু সমাস
স্থানান্তর = অন্য স্থান—নিত্য সমাস
স্নায়ুসূত্র = স্নায়ু সূত্রের ন্যায়—উপমিত কর্মধারয় সমাস
| স্নেহরস = স্নেহ রূপ রস—রূপক কর্মধারয় সমাস।
হতােদ্যম = হত হয়েছে উদ্যম যার—বহুব্রীহি সমাস।

| হাঁকরা = হাঁ করে যে—উপপদ তৎপুরুষ সমাস
হাতাহাতি = হাতে হাতে যে যুদ্ধ —ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস।
হাতেপায়ে = হাতে ও পায়ে—অলুক দ্বন্দ্ব সমাস।
হাটবাজার = হাট ও বাজার—দ্বন্দ্ব সমাস 



প্রতিশব্দ ২য় বর্ষের আসাম

মানবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিষয়ক প্রতিশব্দ :

শরীর—অঙ্গ, দেহ, তনু, বপু, কলেবর।
মাথা—মস্তক, শির, মুণ্ডু, শীর্ষ, শির, শিয়র, উত্তমাঙ্গ, বরাঙ্গ।
চুল—কেশ, অলক, চিকুর, কুন্তল।।
কপাল—ললাট, অদৃষ্ট, মাথার খুলি, ভাগ্য।
কানকর্ণ, শ্রুতি, শ্রবণ, শ্রবণেন্দ্রিয়।।
দাঁতদন্ত, রদন, দর্শন, দংষ্ট্র, রদ, আশী।
নাক—নাসিকা, নাসা, শ্বসেন্দ্রিয়, ঘ্রাণেন্দ্রিয়, গন্ধেন্দ্রিয়।
চোখ—চক্ষু, অক্ষি, আঁখি, নয়ন, নেত্র, লােচন।
মুখবদন, আনন, আস্য, মুখমণ্ডল, তুণ্ড।
জিয়া—আস্বাদনী, জিব, জিভ, রসনা রসনেন্দ্রিয়, লেহ।
হাত—হস্ত, বাহু, ভুজ, পাণি, কর।
পাপাদ, পদ, চরণ, ঠ্যাং, অধমাঙ্গ।

পরিজন-বিষয়ক প্রতিশব্দ :
পিতা-বাবা, জনক, জন্মদাতা, পিতৃদেব, তাত, আব্বা, বাপ।
মাতা—মা, জননী, প্রসবিনী, প্রসূতি, গর্ভধারিণী।
পুত্র—ছেলে, নন্দন, দুলাল, তনয়।।
কন্যা–মেয়ে, নন্দিনী, তনয়া, দুহিতা।
ভাই-ভ্রাতা, সহােদর, সহজ, সােদর।
বােন—ভগ্নি, ভগিনী, সহােদরা, সহজা, স্বসা।
জেঠা-জ্যাঠামশাই, জ্যাঠা, জ্যেষ্ঠতাত, পিতৃব্য।
জেঠিমা-জ্যাঠাইমা, জেঠি, জেঠাই, বড়মা।
কাকা-খুড়াে, খুড়া, খুল্লতাত, চাচা, পিতৃব্য।
কাকিমা-কাকি, খুড়ি, খুড়িমা, ছােটমা, চাচী।
ভাইপাে-ভাজ, ভাতৃপুত্র, ভ্রাতুস্পুত্র।
পিতামহ-ঠাকুরদাদা, ঠাকুরদা, দাদামশায়, দাদু, দাদা।
• প্রাণী-বিষয়ক প্রতিশব্দ :

মানুষ-মনুষ্য, নর, লােক, জন, মানব, ব্যক্তি।
কুকুরপুকুর, সারমেয়, স্থা, তত্তা।।
পাখি-পঙ্কি, বিহগ, খেচর, বিহঙ্গ, বিহঙ্গম, খগা।।
হাতি-হষ্ঠী, করা, গজ, দন্তী, মাতঙ্গ, কুঞ্জর, করেণু, ঐরাবত, বারণ।
ষড়যও, বৃষ, বৃষভ, বলদ, লীবর্দ।।
সর্প—সাপ, নাগ, ফণী, ভুজঙ্গ, বিষধর, অহি, উরগ, পন্নগ, পরগ। (উঃ মাঃ ২০১৮]
ভেড়া-মেড়া, মেষ, গাড়ল, গাড়র।
ঘােড়া—অশ, হয়, ৰাজী, ঘােটক, তুরঙ্গ, তুরঙ্গম।
গােরু-ধেনু, গাই, গাভী, গাে-ধেনু, গাে-ধন।।
বেড়াল-বিড়াল, বিল্লি, মার্জার, মেকুর, বাঘের মাসি।
মাছ-মৎস্য, মীন, মছলি, কন্টক, শকী।।
বাঘ-ব্যায়, কবর, শার্দুল, নরখাদক, শের।
বাছুর-গােবিংস, গাে-শাক, সোেহ্মা, নই।
ব্যাঙ-ব্যাং, ভেক, মক, দাদুর, পর্দুর।
উট-উঞ্জ, মরুতরণী, বক্রগ্রীব, মরুযান।।
ছাগল-ছাগ, অজ, গাঠা, বকা।।
মাকড়সা-উর্ণনাভ, লুতা, মর্কট, জালিক।
কোকিল-কলকষ্ঠ, পরভৃত, পিক, বসন্তদত, সন্তসখা।
ভ্রমর-অলি, মধুকর, মধুপ, মৌমাছি, ভৃঙ্গ, ভণ্ড।

দেবতা-বিষয়ক প্রতিশব্দ
ঈশ্বর—দশ, ধাতা, বিধাতা, পরমেশ, পশমেশ্বর ভগবান, বি, জগৎ
কৃষ্ণকেশব, গিরিধারী, গােপাল, গােবিন্দ, জনার্দন, মাধব, মুকুন্দ।
শিব—মহাদেব, নীলকন্ঠ, মহেশ্বর, শ, শঙ্কর, ভােলানাথ।
দুর্গা:- অভয়া, গেীরী, ভবানী, শিৰা, শিবানী, শার, সতী।
জলী -কমলা, নারায়ণী, পরা, পরালিয়া, পদ্মাসনা।

সরস্বতী—বাগদেবী, বীণাপাশি, ভারত, ওম, শুভা, সারদ।
• বিবিধ-বিষয়ক প্রতিশব্দ :
ঘর-গৃহ, গেহ, কুঞ্জ, আবাস, ভবন, নিলয়, আলয়, কুটির, নিকেতন।
বিদ্যালয় পাঠগৃহ, পাঠভবন, পাঠশালা, বিদ্যামন্দির, বিদ্যানিকেতন, শিক্ষালয়,
শিক্ষানিকেতন, শিক্ষায়তন।।
বস্ত্র-কাপড়, বসন, পরিধান, অম্বর, বাস।
রাস্তা-পথ, সড়ক, সরণি, মার্গ, বন্ধু।
ইচ্ছা-অভিলাষ, কাক্ষা, আকাক্সক্ষা, কামনা, ঈলা, অভাগা, বাঞ্ছা, বাসনা,
রুচি, অভিরুচি, সাধ, স্পৃহা, লি, আকিঞ্চন, মনােরথ।।
ণি -প্রভা, বিভা, রশ্মি, র, অংশু, দীপ্তি, জ্যোতি, দূতি, মরীচি।
দণ্ড-লাঠি, শান্তি, জরিমানা, যুদ্ধ, সময়ের বিভাগ (যেমন—পল, বিপল)।
দ্বিজদা , অণ্ডজ, প্রাণী, চন্দ্র।
ধারা-প্রকৃতি, প্রবাহ, ধষণ, আইনের বিভাগ, আচরণ।
পাত্র—আধার, ভাজন, যােগ্য ব্যক্তি, লােক, বর, অমাতা।
পাশপাশ, রঞ্জু (নাগপাশ) স্বাস, বকুণের অস্ত্র, গুচ্ছ, পাশা।
ব্যক্তি—নর, জন, মানব, মনুষ্য, লােক।
বন্ধু মিত্র, সখা, মিতা, সুহৃদ।
শিক্ষক গুরু, আচার্য, মাস্টারমশায়, অধ্যাপক।
ছাত্র-শিষ্য, পড়য়া, বিদ্যার্থী, শিক্ষার্থী।
রাজা - নৃপতি, নরপতি, নরেশ।
আকাশ-গগন, অম্বর, নীলিমা, নভঃ, ব্যোম, অভ্র, আশমান।
সূর্য - রবি , তপন, ভাস্কর, আদিতা, ভানু, দিমণি, সবিতা, দিবাকর।
চন্দ্ৰ-চাদ, শশধর, শশাঙ্ক, শশী, ইন্দু, নিশাকর।
পৃথিবীখরা, বসুন্ধরা, ক্ষিতি, মহী, ধরিত্রী, জগৎ, ভুবন। (উঃ মাঃ ২০১৮]
পর্বতগিরি, ভূধর, অচল, শৈল, অদ্রি, পাহাড়।
সুত্র-সাগর, সিদ্ধ, জলধি, অর্ণব, পারাবার, দরিয়া, রত্নাকর, বারিধি।

তটিনী, সরিং, প্ৰবাহিণী, স্রোতস্বিনী, স্রোতস্বতী।।

– জলাশয়, তড়াগ, দীঘি, পুস্পরিণী, সরসী, সরােবর।
ল—উক, নীর, বারি, অম্বু, সলিল, পানি, জীবন।

অনিল, সমীর, সমীরণ, মরুৎ, মারুত, বাতাস, পকন, হাওয়া।
মেঘ-জলধর, বারিদ, নীরদ, জলদ, ঘন, জীমূত, বারিধর।
বন—অরণ্য, কানন, জঙ্গল, দাব, বনানী, অটবি, কান্তার, বিপিন।
উদ্যান—উপবন, কুঞ্জ, বাগ, বাগান, বাগিচা।
ফুল—কুসুম, পুষ্প, প্রসূন।
পদ্ম—অজ, অরবিন্দ, ইন্দীবর, উৎপল, কমল, কোকোনদ, পঙ্কজ, শতদল, রাজীব,

| সরােজ।
বৃক্ষ—গাছ, তরু, শাখী, বিটপী, পাদপ, দ্রুম, মহিরুহ।
বিদ্যুৎ—বিজলি, তড়িৎ, চপলা, দামিনী, অশনি, চঞ্চলা, সৌদামিনী, ক্ষণপ্রভা।
দিন—দিবা, দিবস।
রাত্রিরাত, নিশা, রজনী, যামিনী, বিভাবরী।
অগ্নি—অনল, আগুন, বহ্নি, হুতাশন, সর্বভুক, বিভাবসু, পাবক, বৈশ্বানর।
নক্ষত্র—তারা, তারকা, জ্যোতিষ্ক, সিতারা, তারক।


|| সারমর্ম ঃ দেবী অন্নপূর্ণা গাঙ্গিনীর তীরে এসে মাঝিকে পার করে দেবার জন্য আহ্বান জানান। নদীর ঘাটে ঈশ্বরী পাটুনী নামে এক মাঝি তার ডাকে সাড়া ...