শিবসাগরকে ‘মাছধরা জায়গা’ বলা হত কেন?

প্রশ্ন ১। শিবসাগরকে ‘মাছধরা জায়গা’ বলা হত কেন?

উত্তর। আসামের শিবসাগর জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গেছে দিচাং এবং দিখৌ
উপনদী।। দিচাং নদীর উৎস স্থান অরুণাচলের পাটকাই পাহাড়। এই উপনদীটি টিরাপ ও নাগাল্যান্ডের মােন জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এসে ডিব্ৰুগড় ও শিবসাগর জেলায়
প্রবেশ করে ব্রহ্মপুত্রে পড়েছে। আর দিখৌ উপনদীটি নাগাপাহাড় থেকে বেরিয়ে শিবসাগরের
মধ্যে দিয়ে ব্রহ্মপুত্রে মিশেছে। ব্রহ্মপুত্র নদ হল মাছ ও কচ্ছপের ভাণ্ডারস্বরূপ। তাই
ব্রহ্মপুত্রের মাছ, কচ্ছপ বর্ষাকালের বাড়তি জলের সাথে দিচাং ও দিখৌ নদী দিয়ে প্রবেশ
করে শিবসাগরকে যেন মাছের ভাণ্ডার করে তােলে এবং সমগ্র জেলাতে খাল-বিল-
জলাশয়ে মাছ ও কচ্ছপ অপর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। সেইজন্য শিবসাগরকে ‘মাছধরা
জায়গা’ বলা হত।

প্রশ্ন ২। শিবসাগরকে শেষ পর্যন্ত লেখকের পছন্দ হয়েছিল কেন?
| উত্তর। প্রথম অবস্থায় লেখকের শিবসাগর সম্পর্কে ভালাে ধারণা ছিল না। আসামকে
কেউ কেউ মাছধরা জায়গা’ বলে ঠাট্টা করতেন। কিন্তু শিবসাগর যে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী
ও মহিমামণ্ডিত স্থান এই কথা উপলব্ধি করে লেখকের মনে বিরূপ ভাব ক্রমশ কমে গেল।
প্রাচীনকালের বিশাল বরপুখুরী বা বড় পুকুর পাড়ে অবস্থিত বিষ্ণুদেউল, দেবীদেউল ও
মাঝখানে থাকা শিবদেউল লেখকের মন আকৃষ্ট করেছিল; অর্থাৎ শিবসাগর সম্পর্কে
লেখকের মনে প্রথম অবস্থায় সৃষ্টি হওয়া বীতরাগ ধীরে ধীরে অনুরাগে রূপান্তরিত হল।
| তার সঙ্গে দিখৌ নদীর অপর পারে অবস্থিত রং ঘর, কারেং ঘর, তলাতলি ঘর, জয়সাগরের
দেউল ও জয়সাগর নামে প্রকাণ্ড পুষ্করিণী লেখকের মন আনন্দাপ্লুত করে তুলেছিল। তার
ফলেই লেখকের মনে শিবসাগর পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছিল।
| প্রশ্ন ৩। পাঠে উল্লিখিত তিনটি দেউল-এর নাম লেখ।
| উত্তর। পাঠে উল্লিখিত তিনটি দেউল হল যথাক্রমে—বিষ্ণুদেউল, শিবদেউল ও।
দেবীদেউল। এই তিনটি দেউল অহােম রাজার সময়কার বরপুখুরী বা বড় পুকুরের পাড়ে।
অবস্থিত। এই তিনটি দেউল ও বড় পুকুরের সামগ্রিক দৃশ্য অতি মনােরম। বিষ্ণুদেউল ও
দেবীদেউলের চূড়ায় ত্রিশূল বিরাজমান, অপরদিকে শিবদেউলের চূড়ায় চকমকে শৃঙ্গ
বিরাজমান।।


No comments:

Post a Comment

|| সারমর্ম ঃ দেবী অন্নপূর্ণা গাঙ্গিনীর তীরে এসে মাঝিকে পার করে দেবার জন্য আহ্বান জানান। নদীর ঘাটে ঈশ্বরী পাটুনী নামে এক মাঝি তার ডাকে সাড়া ...