অন্নদার আত্মপরিচয় । সারমর্ম

|| সারমর্ম ঃ দেবী অন্নপূর্ণা গাঙ্গিনীর তীরে এসে মাঝিকে পার করে দেবার জন্য
আহ্বান জানান। নদীর ঘাটে ঈশ্বরী পাটুনী নামে এক মাঝি তার ডাকে সাড়া দিয়ে
নৌকায় ছদ্মবেশী দেবীকে তুলে নিলেন। এরপর পাটুনী তার পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে
দেবী ব্যাজস্তুতি অলংকারের মাধ্যমে তার পরিচয় দিয়ে বললেন যে তিনি শিবের
ঘরণী। দেবী বিশেষণে সবিশেষ পরিচয় দিয়ে বললেন যে তার স্বামী পরমকুলীন এবং
পিতামহ তাকে অন্নপূর্ণা নাম দিয়েছেন। তার স্বামী বামদেব অর্থাৎ শিব। তিনি কালােত্তীর্ণ
সিদ্ধপুরুষ। তার ত্রিনয়নে অগ্নির অবস্থান। তার স্বামীর আর এক নাম পঞ্চানন। তিনি
সমুদ্রমন্থনকালে কণ্ঠে বিষ ধারণ করে দেবকুলকে রক্ষা করেছিলেন। গঙ্গা নামে তার
এক সতীন আছে। তিনি মহাদেবের জটায় বিরাজ করেন। শিব ভূত-প্রেত সঙ্গে নিয়ে
শ্মশানে-মশানে বিচরণ করেন। তাঁর ভাই হলেন মৈনাক পর্বতমাঝ-সমুদ্রে যার
অবস্থান। অন্নপূর্ণার পিতা ‘পাষাণ’ অর্থাৎ হিমালয়। এইভাবে আপন পরিচয় অলংকৃত
ভাষায় ব্যক্ত করার পর পাটুনী বলল যে সংসারে যেখানে কুলীন জাতি সেখানেই
রয়েছে দ্বন্দু-অসন্তোষ। দেবী যখন নৌকায় চড়লেন তখন পাটুনী তাকে জলের উপর
পা রাখতে নিষেধ করলেন। কারণ জলে কুমিরের ভয় আছে। পাটুনীর বাক্যে জগন্মাতা।
অন্নপূর্ণা সেঁউতীর উপর যখন পা-দুখানি রাখলেন তখনই কাঠের সেঁউতী সােনায়।
পরিণত হল। পাটুনী বুঝলেন, এ সাধারণ মেয়ে নয়, দেবী। তীরে নেমে দেবী যখন
পূর্বদিকে গমন করলেন তখন হাতে সেউতী নিয়ে পাটুনী তার পিছন পিছন চলতে
লাগলেন। দেবী তাকে দেখে বললেন যে তিনিই অন্নপূর্ণা। চৈত্র মাসে শুক্লা অষ্টমীতে
তার পূজা হয়। তিনি এতদিন হরিহাড়ের বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু সেখানে দ্বন্দ্ব-কলহের
কারণে তিনি বর্তমানে ভবানন্দ মজুমদারের বাড়িতে অবস্থান করবেন। এরপর অনুগdf ।
বৰ দান করে বললেন যে তার সন্তান চিরকাল 'দুধে-ভাতে' থাকবে। এরপর দেবী
অদশ্য হলেন। পাটুনী পুনর্বার ফিরে দেবীকে আর দেখতে পেলেন না।

No comments:

Post a Comment

|| সারমর্ম ঃ দেবী অন্নপূর্ণা গাঙ্গিনীর তীরে এসে মাঝিকে পার করে দেবার জন্য আহ্বান জানান। নদীর ঘাটে ঈশ্বরী পাটুনী নামে এক মাঝি তার ডাকে সাড়া ...