সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর



সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর

                                                             মূল্যাঙ্ক-২/৩ 
প্রশ্ন ১। গােবিন্দদাসের পিতা ও মাতামহের নাম লেখ।
উত্তর। গােবিন্দদাসের পিতার নাম চিরঞ্জীব সেন ও মাতামহের নাম পণ্ডিত দামােদর

সেন।

প্রশ্ন ২। “গাগরি-বারি ঢারি করি পীছল।

চলতহি অঙ্গুলি চাপি।৷”

চরণটি সহজ বাংলায় বুঝিয়ে দাও।
উত্তর। অভিসারের পূর্বপ্রস্তুতির জন্য শ্রীরাধা কলসির জল ঢেলে চলার পথ পিচ্ছিল।
করছেন এবং সেই পথে পায়ের আঙুল টিপে টিপে চলার অভ্যাস করছেন।
প্রশ্ন ৩। গুরুজনের এবং পরিজনের কথা শুনে শ্রীরাধা কেমন ব্যবহার করেছিলেন

লেখ।
উত্তর। গুরুজনের কথা উপেক্ষা করার জন্যে শ্রীরাধা বধিরের মতাে শুনেও না শােনার
ভান করতেন। ইচ্ছাকৃতভাবে এক কথার অন্য উত্তর দিতেন এবং পরিজনদের কথায় বিল
হাসি হাসতেন।

। অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর।
| প্রশ্ন ৪। গােবিন্দদাস ও জ্ঞানদাসের বৈশিষ্ট্য কী ছিল?
| উত্তর। গােবিন্দদাস বিদ্যাপতির ভাবশিষ্য ছিলেন ও ব্রজবুলি ভাষায় পদ রচনা
করেছিলেন। অপরদিকে জ্ঞানদাস ছিলেন চণ্ডীদাসের ভাবশিষ্য এবং তাঁর পদগুলি বাংলা
ভাষায় রচিত।
প্রশ্ন ৫। গােবিন্দদাস রচিত পদের শ্রেষ্ঠত্ব কোন পর্যায়ে বিকশিত হয়েছে?
উত্তর। গােবিন্দদাস রচিত পদগুলির মধ্যে গৌরচন্দ্রিকা, গৌরাঙ্গ-বিষয়ক পদ ও

| অভিসার পর্যায়ের পদগুলিতে বিকশিত হয়েছে।
প্রশ্ন ৬। বিদ্যাপতির পদের সঙ্গে গােবিন্দদাসের মিল কোথায় ?

উত্তর। দুজনেই ব্রজবুলি ভাষায় পদ রচনা করেছেন। বিদ্যাপতির মতাে গােবিন্দ-
দাসের কাব্যে রয়েছে কাব্যঝংকার, ছন্দের বিস্ময়কর কারুকার্য, শব্দপ্রয়ােগ ও চিত্রকল্পের
নিপুণ ব্যবহার, কল্পনার উৎসার ও আবেগের উল্লাস।

প্রশ্ন ৭। বৈষ্ণব পদের অভিসার’ কথার দার্শনিক অর্থ কী ?
| উত্তর। অভিসার হল জীবাত্মার সঙ্গে পরমাত্মার মিলনের জন্য যাত্রা। শ্রীরাধিকা
জীবাত্মার প্রতীক এবং শ্রীকৃষ্ণ পরমাত্মার প্রতীক।
প্রশ্ন ৮। কবিতায় কে, কার উদ্দেশ্যে অভিসার যাত্রার পূর্বপ্রস্তুতি করছেন?

উত্তর। অভিসারের পূর্বপ্রস্তুতি' কবিতায় শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে মিলনের জন্য শ্রীরাধা
অভিসার যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

প্রশ্ন ৯। “মন্দিরে যামিনী জাগি।।”
কে মন্দিরে যামিনী জাগছেন? কেন?
উত্তর। শ্রীরাধিকা গভীর রজনীতে তার নিজ শয়নমন্দিরে যামিনী জাগছেন।

কারণ গভীর রাত্রিতে পরিবার-পরিজনেরা ঘুমিয়ে পড়লে তিনি অভিসারের দুস্তর
পথ অতিক্রম করার সাধনা বা মহড়া শুরু করবেন।
প্রশ্ন ১০। “কর-যুগে নয়ন মুদি চলু ভামিনী।
তিমির-পয়ানক আশে৷৷”
- পংক্তি দুটির তাৎপর্য কী?

উত্তর। শ্রীরাধিকা নিচ্ছিদ্র অন্ধকারে প্রিয় মিলনের উদ্দেশ্যে যাবেন, তাই তিনি চোখে।
হাত দিয়ে দৃষ্টি আচ্ছন্ন করে পদচারণা করতে লাগলেন।

No comments:

Post a Comment

|| সারমর্ম ঃ দেবী অন্নপূর্ণা গাঙ্গিনীর তীরে এসে মাঝিকে পার করে দেবার জন্য আহ্বান জানান। নদীর ঘাটে ঈশ্বরী পাটুনী নামে এক মাঝি তার ডাকে সাড়া ...